,

ছাতক সিমেন্ট কারখানায় প্রতিদিন ২ হাজার টন সিমেন্ট উৎপাদনের সম্ভাবনা

বিশেষ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ‘ছাতক সিমেন্ট কারখানা’ আধুনিকায়নে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, কারখানাটি চালু হলে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টন ক্লিংকার ও সিমেন্ট উৎপাদন হবে। দেড় যুগ ধরে লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হতে পারে।
সুনামগঞ্জে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি ছাতক সিমেন্ট কারখানাকে ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। নতুন রোপওয়ে, ক্রাশার, প্রি-হিটা, ভার্টিকাল রোলার মিল ও সিমেন্ট মিল, ক্লিংকার সাইলো, প্যাকিং প্ল্যান্ট, ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
গত দেড় যুগ ধরে লোকসানের মুখে ১৯৩৭ সালে স্থাপিত ৮৫ বছরের পুরনো এই কারখানাটি। দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ৫০০ টন থেকে ২০০ টনে নেমে আসে। এর আধুনিকায়নে ৮৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের নাং জি সি হোপ ড্রাই প্রসেস রূপান্তরের কাজ শুরু করে। নতুন প্ল্যান্ট চালু হলে প্রতিদিন এক হাজার ৫০০ টন ক্লিংকার ও ৫০০ টন সিমেন্ট উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে জানান প্রকল্প সমন্বয়ক পংকজ কান্তি দত্ত।
চায়নার নাং জি সি হোপ সিমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রকৌশলী মাহবুব হাসান জানান, সিমেন্ট কারখানাকে ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। প্রকল্পটি চালু হলে বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন ক্লিংকার ও ১ লাখ ৫০ হাজার টন সিমেন্ট উৎপাদিত হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর